সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন
বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : বাহুবল ও নবীগঞ্জের বিভিন্ন হাট-বাজারে সরবরাহ হচ্ছে নিম্ন মানের চা পাতা। বিএসটিআই’র অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন দোকান পাটে বিক্রি হচ্ছে এসব নিম্ন মানের চা পাতা। একটি অসাধু চক্র পলিথিন ব্যাগে মোড়ানো পাতাগুলো বিভিন্ন ভূয়া ব্রান্ডের লগো লাগিয়ে দোকানীদের কাছে কম মূল্যে বিক্রি করছে। যেমন শাহজালাল, টাটকা, তাসিন, টাইম টি, সিডনি, উৎস, সূচী, গার্ডেন টি, মর্নিং টি, শেভলন, মিয়াজীপুরী (মিনিপ্যাক) ইত্যাদি পলি ব্যাগে লোজ পাতা ভরে বিক্রি হচ্ছে বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী, মিরপুর, ডুবাঐ বাজার, স্নানঘাট, নন্দনপুর, দিগাম্বর বাজার, নবীগঞ্জের পানিউমদা, দেবপাড়া বাজার, আউশকান্দি, সৈয়দপুর বাজার, ইনাতগঞ্জ সহ প্রত্যান্ত এলাকার বাজারগুলোতে। এসব ভূয়া ব্রান্ডগুলোর কোন মালিক কোম্পানী নেই।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, পুরান ঢাকার অলি-গলিতে এরকম ছাপানো পলিথিন কেজি দরে বিক্রি করা হয়। অসাধু চক্রটি সেখান থেকে পলিথিন ক্রয় করে নিয়ে এসে নিম্নমানের চা পাতা প্যাকেটজাত করে বাজারে সরবরাহ করছে। প্যাকেটগুলো দেখলে নিম্নমানের ও অবৈধ বলে সহজে মনে করার কিছু নেই। সূক্ষভাবে দেখলে ধরা যাবে। যেমন মির্জাপুরী ব্র্যান্ডের আদলে নকল ব্র্যান্ড হচ্ছে- “মিয়াজীপুরী”! কিন্তু পলিথিনের গায়ে বিএসটিআই লেখা ঠিকই রয়েছে। তবে এসব নামে কোন অনুমোদিত ব্র্যান্ড নেই। এছাড়া বাজারগুলোতে সাদা পলিথিনে ভরেও কেউ কেউ লোজপাতা বিক্রি ও সরবরাহ করছে। এতে সরকার যেমন রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারাও । ফলে অনুমোদিত ব্রান্ডগুলো চাপা পড়ে যাচ্ছে। এছাড়া ওই চক্রটি হবিগেঞ্জর অন্যান্য উপজেলা বানিয়াচং, লাখাই, চুনারুঘাট, বামৈ, মুড়াকরি, বুল্লা বাজারেও সরবরাহ করছে বলে জানা গেছে।